1. ক্বারী মিশারী রাশিদ আল আফাসি

কুয়েত গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম এবং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্বারীদের একজন। তার তেলাওয়াতের বৈশিষ্ট্য—অত্যন্ত সুশৃঙ্খল আরবি হরফ ও শব্দ গুণের উচ্চারণ। মনকে প্রশান্ত করা তার কণ্ঠের রুহানী গভীরতা মানুষকে দুশ্চিন্তা থেকে শান্তির দিকে নিয়ে যায়। অনেকেই বলেন, আফাসির তেলাওয়াত শুনলে মনে হয়—দূর থেকে কেউ যেন দু’আ করছে। তার তেলাওয়াত অনেকের রাতে ঘুমকেও স্বস্তিদায়ক করে তোলে।

2. ক্বারী আবদুল বাসিত

কুরআন তেলাওয়াতের ইতিহাসে তিনি এক কিংবদন্তি। ১৯৭০-এর দশকে পরপর তিনবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই ক্বারীকে বলা হয়—“কুরআনের সুরের জাদুকর।” তার নিখুঁত শ্বাস–নিয়ন্ত্রণ ও সুরের ওঠানামা আজও বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রিয়।

3. ক্বারী মোহাম্মদ খলিল আল হুসাইরী

তাজবীদ শেখার ক্ষেত্রে তাকে বলা হয় “জীবন্ত আদর্শ।” তার তেলাওয়াত ধীরে, পরিষ্কার ও নিয়ম-মানা—নতুন শিক্ষার্থী ও যারা মুখস্থ করছেন তাদের জন্য একেবারে আদর্শ প্যাটার্ন। তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি পূর্ণ কুরআন রেডিওতে রেকর্ড করেছিলেন।

4. বাংলাদেশের গর্ব—ক্বারী আবু রায়হান

২০১৮ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক “তিরজাত আন নূর” হিফজ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করেন, যেখানে ৫০টিরও বেশি দেশ অংশ নেয়। ২০২৪ সালে সেনেগালে অনুষ্ঠিত ১১তম আন্তর্জাতিক হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতাতেও তিনি প্রথম হন। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি এক অনুপ্রেরণা।

5. ক্বারী মুহাম্মাদ সিদ্দীক আল-মিনশাওয়ী

তার তেলাওয়াতে রয়েছে গভীর আবেগ, করুণা ও আত্মাকে নাড়া দেওয়া এক বিশেষ সুর। প্রতিটি হরফ, সাকিন ও মাদ অত্যন্ত যত্নের সাথে উচ্চারণ করেন। তার কণ্ঠে তেলাওয়াত শুনলে অনেকের হৃদয় কেঁপে ওঠে—এক ধরনের আধ্যাত্মিক প্রবাহ অনুভূত হয়।

6. ক্বারী আসমা হুদা

যারা উচ্চারণে দুর্বল বা আরবি নতুন করে শিখছেন—তাদের জন্য তিনি আদর্শ নারী–ক্বারী। শিক্ষানবিশরা তার তেলাওয়াত অনুসরণ করলে আরবি হরফ ও শব্দ গুণ পরিষ্কারভাবে আয়ত্ত করতে পারেন। অনেক বোন যাঁরা নারী ক্বারীর কাছ থেকে শেখাকে নিরাপদ মনে করেন—তাদের জন্য এটি বড় আশীর্বাদ।